রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০:২৫ পূর্বাহ্ন
মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি॥ পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ইউপি নির্বাচন নিয়ে সহিংসতায় কব্জি হারাতে বসেছেন যুবলীগ নেতা মিজানুর রহমান বিপ্লব (৪০)। বুধবার রাতে উপজেলার আলগীবাজার সংলগ্ন মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় আরও ২ জন আহত এবং ৩টি মোটরসাইকেল ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ গুরুতর জখম বিপ্লবকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই রাতেই বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এ ঘটনায় ফরিদ নামের একজনকে রাতেই থানা পুলিশ আটক করেছেন।
বিপ্লব বেপারী সাফা গ্রামের নূর উদ্দিন বেপারীর ছেলে। তিনি ধানীসাফা ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি। বিপ্লবের বড়ভাই বাচ্চু বেপারী ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি।
বাচ্চু বেপারী বলেন, বুধবার সন্ধ্যার পরে বিপ্লব ধানীসাফা ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী হারুন অর রশিদ তালুকদারের নৌকা মার্কার স্টিকার নিয়ে আলগী বাজারে দলীয় কার্যালয়ে যান। রাত সাড়ে ৯টার দিকে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী রফিকুল ইসলামের (রফিক প্রফেসর) সমর্থক আলগী গ্রামের ফরিদ আকনের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী বিপ্লব বেপারীর ওপর হামলা করে।
তিনি জানান, ধারালো অস্ত্র দিয়ে বিপ্লবকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ফেলে রাখে যায়। এতে তার বাম হাতের কব্জি এবং ডান হাতের একটি আঙুল প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এছাড়া মাথা, পিঠ ও দুই হাতে ধারালো অস্ত্রের কোপে একাধিক জখম হয়। স্থানীয় লোকজন আতঙ্কে তাকে উদ্ধার করতে এগিয়ে আসেনি। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
ধানীসাফা ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী হারুন অর রশিদ তালুকদার বলেন, বিপ্লবের হাতের কব্জি জোড়া লাগানো সম্ভব নয়। কব্জি ও একটি আঙুল ফেলে দিতে হবে। স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে তার লোকজন কুপিয়ে জখম করেছে।
তবে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী রফিকুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, উল্টো সন্ধ্যার পর করিম আকন স্কুল এলাকায় প্রচারণা চালানোর সময় নৌকা প্রার্থীর কর্মীরা তার দুই সমর্থককে আহত করে এবং তিনটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে।
মঠবাড়িয়া থানার ওসি মুহা. নূরুল ইসলাম বাদল একজনকে আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
Leave a Reply